Friday, December 20, 2019

এক অপরিচিত সেলিব্রিটি - ৩

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু 



মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষের সঙ্গে পশ্চিমী পণ্ডিতদের কে আলাপ করিয়েছে জানেন?

আল বিরুনি : এক অপরিচিত সেলিব্রিটি 


আবু রায়হান আল বিরুনি বা আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনি (৯৭৩-১০৪৮), ছিলেন মধ্যযুগের বিশ্বখ্যাত আরবীয় শিক্ষাবিদ ও গবেষক। তিনি অত্যন্ত মৌলিক ও গভীর চিন্তাধারার অধিকারী ছিলেন। তাঁর পূর্ণ নাম আবু রায়হান মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ আল-বিরুনি। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন ৩৬২ হিজরির ৩ জিলহজ মোতাবেক খ্রিস্টিয় ৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রাচীন ইরানের খারেজম প্রদেশের কাস শহরে। বর্তমানে এ অঞ্চলটি মূলত উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের অংশ।


বলা হয় গজনীর সুলতান মাহমুদ ভারতে হামলার সময় আল  বিরুনিকে নিজ সেনাদলের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। এইসব সফরে বিরুনি ভারতীয় পণ্ডিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বা তাদের সম্পর্কে জানতে পারেন।  বিরুনি বেশ কয়েক বছর বা অন্তত এক যুগের এক বড় অংশ ব্যয় করেছেন ভারত সম্পর্কিত গবেষণায়। এ সময় তিনি সংস্কৃত সহ ভারতের নানা ভাষাও রপ্ত করেন। এ ছাড়াও এ সময় দর্শনসহ ভারতীয়দের নানা জ্ঞান সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করেন বিরুনি।

Thursday, November 28, 2019

ইসলামিক মুদ্রা

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু 


কবে থেকে চালু হয় ইসলামিক মুদ্রা? কেই বা প্রবর্তক?



পণ্যবিনিময় ব্যবস্থার আদিমতম মাধ্যম হিসেবে অর্থের লেনদেন সেই পুরাকাল থেকেই চলে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যেও এর কোনো বিকল্প ছিল না। মুসলিমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে অন্যদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই উন্নতি করেছিল সেই সময়। সেই সময়কার মুসলিম সাম্রাজ্যগুলির লেনদেন নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন এখনও অনেকের কাছে অজানা। 

মুহাম্মদ (সা:)-এর সময় বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ও পারস্য সাম্রাজ্যের শাসনব্যবস্থা ও জীবন ধারণের সাথে আরবের দেশগুলির সমাজ ব্যবস্থায় পার্থক্য ছিল। ওই সাম্রাজ্যগুলি চলত সম্রাটের অধীনে এবং সম্রাট শেষ কথা বলতেন। কিন্তু আরবে ছিল উপজাতি ব্যবস্থা, উপজাতিদের মধ্যেই একরকম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচিত হতেন। 


আরবের সওদাগররা পণ্য নিয়ে সারিসারি উটে চাপিয়ে যেত ব্যবসা করতে। এই পণ্যের মধ্যে থাকত ধূপধুনো, আতর, মশলা, হাতির দাঁত, মুক্তো ইত্যাদি। এর মধ্যে বেশ কিছু জিনিস ছিল যেমন ধুনো বা গন্ধরস, এগুলি শুধু আরবেই পাওয়া যেত সেইসময়।  তাই এর চাহিদাও ছিল প্রচুর। 

Friday, October 11, 2019

ইলম - ৯

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু 


কখন ক্ষমা প্রার্থনা করবেন আল্লাহর কাছে?

রাতের প্রশান্ত মুহূর্তকে মনোবিজ্ঞানীরা দিনের বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত করেন। এ সময়ই মানুষ তার অন্তরের আবেগ অনুভূতিকে অন্যের কাছে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে। রাতে মানুষের মনের এ উন্মুক্ত অবস্থাকে কাজে লাগানোর সুযোগ গ্রহণে ইসলামে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যে ব্যক্তির লক্ষ্য আখেরাতের সফলতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, সে ব্যক্তি তার রাতকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজেই ব্যস্ত রাখবে।

হাদীসের বর্ণনায় এসেছে, রাতের শেষ এক-তৃতীয়াংশে আল্লাহ পৃথিবীর মানুষের কাছে আহ্বান জানান তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার এবং তাদের চাহিদা সম্পর্কে জানানোর। যা পূরণের জন্য আল্লাহ নিশ্চিত ওয়াদা দেন।


রাতের বিশেষ এ মুহূর্তকে আল্লাহর সাথে কাটান। তার কাছে নিজেদের গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং যাবতীয় চাহিদা প্রকাশ করুন। এর মাধ্যমে আপনি আল্লাহর সাথে এমন দৃঢ় সম্পর্কে যুক্ত হবেন যে, দুনিয়ার কোনো বিষয়ই আপনাকে হীনমন্য ও হতাশ করবেনা।

Wednesday, September 25, 2019

বাস্তব বুদ্ধি দিয়ে জীবনসঙ্গী বাছুন

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু 


বৈবাহিক জীবনে অযাচিত সমস্যা এড়াতে সঠিক জীবন সঙ্গীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হয় অনেক ভেবে চিন্তে। কিছু ভালো মূহুর্তকে সঙ্গী করে বিবেচনা ছাড়া বিবাহ বন্ধনে না জড়ানোই ভালো। জীবনের ভবিষ্যত বিচার করে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোকে আমাদের একটু সতর্কতার সাথে দেখতে হবে।

সঠিক জীবনসঙ্গী বাছার ক্ষেত্রে আমাদের জীবনে কিছু মানদন্ড রাখতে হবে, নাহলে আমরা আবেগের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব। যার ফল ভোগ করতে হবে আমাদের বাকি জীবন ধরে।

বাস্তব পথ অবলম্বন করে জীবনসঙ্গী বাছুন

আমাদের জীবনে ছোটো ছোটো অনেক মূহুর্তকে বেশি রকম প্রাধান্য দিয়ে আমরা বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিই। জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের ভাবনাগুলো আরও পরিণত করতে হবে। অনেকে ভাবে বিবাহের পর সে ঠিক করে ফেলবে সবটা, কিন্তু এই ভাবনাতে সে বেশিরভাগ সময় ভুল প্রমাণিত হয়। আমরা পরিবর্তন করতে চাইলেও বিপরীতে থাকা মানুষটা যদি পরিবর্তন না চায় তবে সমস্যা সৃষ্টি হবে। তাই খাদ্যাভাস , ধর্ম বা ব্যাক্তিগত আরো কিছু ভালোলাগার বিষয়ে নূন্যতম একটা ভারসাম্য রাখা দরকার জীবনসঙ্গী বাছার ক্ষেত্রে। হয়তো একজন খুব সংস্কৃতিমনস্ক কিন্তু আর একজন এটাকে যথেষ্ট সম্মান পর্যন্ত করে না সেক্ষেত্রে এমন ভাববেন না যে বিবাহের পর ঠিক করে ফেলবেন সঙ্গীর স্বভাব-চরিত্র বা ব্যক্তিত্ব। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে উল্টে ঝামেলা বাড়বে।



Sunday, August 11, 2019

ইলম - ৮


  بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

              শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়অতি দয়ালু 



গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সবার জানা উচিত দেখে শেয়ার করছি।

"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মালিকানাধীন দাসদাসীগণ আর তোমাদের যারা বয়:প্রাপ্ত হয়নি তারা যেন (তোমাদের কাছে আসতে) তোমাদের অনুমতি গ্রহণ করে তিন সময়ে- ফাজর নামাযের পূর্বে, আর যখন দুপুরে রোদের প্রচন্ডতায় তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ আর ‘ইশার নামাযের পর। এ তিনটি তোমাদের পোশাকহীন হওয়ার সময়। এ সময়গুলো ছাড়া অন্য সময়ে (প্রবেশ করলে) তোমাদের উপর আর তাদের উপর কোন দোষ নেই। তোমাদের এককে অন্যের কাছে ঘুরাফিরা করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্দেশ খুবই স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, বড়ই হিকমতওয়ালা।"   (সূরা নূর, আয়াত: ৫৮) 


আয়াতের তাফসীর (আবু বকর জাকারিয়া):

এ আয়াতে বিশেষ তিনটি সময়ে অনুমতি চাওয়ার বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। এই তিনটি সময় হচ্ছে ফযরের সালাতের পূর্বে, দুপুরের বিশ্রাম গ্রহণের সময় এবং এশার সালাতের পরবর্তী সময়। 


Saturday, July 13, 2019

পর্যবেক্ষণ - ৯ | পরশ্রীকাতরতা


  بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

              শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়অতি দয়ালু 


একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম, এদেশের উচ্চশিক্ষিতরা নিজ নিজ অবস্থানে কেউই সন্তুষ্ট নয়। আমার অবজারবেশনের স্যাম্পল সাইজ অল্প কিন্তু কম বেশি সব প্রফেশনের সাথেই কথা হয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতি হল চাহিদা অসীম। আপনার চোখে আমি সফল হলেও আমার চোখে আমি মোটেও সফল না; এক্ষেত্রে দেখা যায় আরেকজনকে ফ্রেম অফ রেফারেন্স ধরে নিজের জীবনকে তুলনা করছি। ফলে দেখা যায়, নিজ অবস্থানে অনেক ভালো থাকার পরেও মানসিক শান্তিলাভ করতে পারেন না অনেকেই। হতাশ থাকেন। 

'বন্ধু গাড়ি-বাড়ি করে ফেলেছে, বউ-বাচ্চা নিয়ে ঘুরছে আর আমি কিনা এখনো ক্যারিয়ার সেট দূরে থাক বিয়েই করতে পারলাম না' এভাবে না ভেবে যদি এমন ভাবি 'আমি আল্লাহর রহমতে ছোট খাট পজিশনে জব করতে পারলেও আমার অনেক বন্ধুই এখনো রাস্তায় রাস্তায় জুতোর তলা ক্ষয় করছে' তাহলে আমার মনে হয় হতাশা কমবে।

Wednesday, May 22, 2019

উপলব্ধি - ১৩


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


সূরা আল ফুরকানের ৪৩ নং আয়াত হতে আমরা শিক্ষা পাই যে - প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করা যাবে না। 

আপনি কি তাকে দেখেন না, যে তারা প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন?

প্রবৃত্তি মানে নাফস। আল্লাহ রামাদান মাসে শয়তানকে বন্দী করে রাখেন। তারপরেও সবাই কিভাবে পাপে নিমজ্জিত থাকে তার উত্তর হল এটাই - আমরা বেশিরভাগই নিজের প্রবৃত্তি বা নাফস বা মনকে উপাস্যরূপে মেনে নিয়েছি। শয়তান এই মাসে বন্দী থাকলেও দেখা যায় নাফস বাকি ১১ মাসে এমন ট্রেনিং পায় যে সে সেটা রামাদানে এপ্লাই করতে চায়। আর আমরাও নাফসের কাছে বন্দী হয়ে পড়ি। রোজার দিনে রোজা হালকা হয়ে যায় এমন সব জিনিস দেখি আবার অহমিকার সাথে ফেইসবুকে পোস্টও দিই। অনেকে অনেক সময় ভুলে যাই যে আমরা রোজা আছি; নিজের অজান্তেই অনেক কিছু বলি, দেখি আর শুনি। আমাদের মন এর কাছে আমরা দাস বনে যাই। অনেকেই বলে 'আমার মন চাইছে তাই ওই সিরিজটা দেখলাম' 'আমার ইচ্ছা হইছে গালি দিছি তোমার কি' এই যে ইচ্ছে, মন চাইল করলাম এগুলোই হল নিজের মন বা নাফসের দাসত্ব করা। রামাদানের মেইন কনসেপ্ট হল আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধি। মন চাইল বলে কিছু করার আগে আমাদের ভাবা দরকার আল্লাহ আমাদের কি নিষেধ করেছেন। আল্লাহ ব্যতীত কাউকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করা যাবেনা। এমনকি নিজের নাফস বা প্রবৃত্তিকেও নয়! যারা এতক্ষণে বুঝে ফেলেছেন কি করণীয়; আসুন নিজের ময়লা মনকে বার বার করে পরিষ্কার করে ফেলি বিনয়ী হয়ে, তাওবাহ করে। 

#পোস্ট_ফাজর_রিয়েলাইজেশন