Wednesday, May 22, 2019

উপলব্ধি - ১৩


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


সূরা আল ফুরকানের ৪৩ নং আয়াত হতে আমরা শিক্ষা পাই যে - প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করা যাবে না। 

আপনি কি তাকে দেখেন না, যে তারা প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন?

প্রবৃত্তি মানে নাফস। আল্লাহ রামাদান মাসে শয়তানকে বন্দী করে রাখেন। তারপরেও সবাই কিভাবে পাপে নিমজ্জিত থাকে তার উত্তর হল এটাই - আমরা বেশিরভাগই নিজের প্রবৃত্তি বা নাফস বা মনকে উপাস্যরূপে মেনে নিয়েছি। শয়তান এই মাসে বন্দী থাকলেও দেখা যায় নাফস বাকি ১১ মাসে এমন ট্রেনিং পায় যে সে সেটা রামাদানে এপ্লাই করতে চায়। আর আমরাও নাফসের কাছে বন্দী হয়ে পড়ি। রোজার দিনে রোজা হালকা হয়ে যায় এমন সব জিনিস দেখি আবার অহমিকার সাথে ফেইসবুকে পোস্টও দিই। অনেকে অনেক সময় ভুলে যাই যে আমরা রোজা আছি; নিজের অজান্তেই অনেক কিছু বলি, দেখি আর শুনি। আমাদের মন এর কাছে আমরা দাস বনে যাই। অনেকেই বলে 'আমার মন চাইছে তাই ওই সিরিজটা দেখলাম' 'আমার ইচ্ছা হইছে গালি দিছি তোমার কি' এই যে ইচ্ছে, মন চাইল করলাম এগুলোই হল নিজের মন বা নাফসের দাসত্ব করা। রামাদানের মেইন কনসেপ্ট হল আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধি। মন চাইল বলে কিছু করার আগে আমাদের ভাবা দরকার আল্লাহ আমাদের কি নিষেধ করেছেন। আল্লাহ ব্যতীত কাউকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করা যাবেনা। এমনকি নিজের নাফস বা প্রবৃত্তিকেও নয়! যারা এতক্ষণে বুঝে ফেলেছেন কি করণীয়; আসুন নিজের ময়লা মনকে বার বার করে পরিষ্কার করে ফেলি বিনয়ী হয়ে, তাওবাহ করে। 

#পোস্ট_ফাজর_রিয়েলাইজেশন

No comments:

Post a Comment