Friday, November 29, 2013

যখন আপনি সমাজের সিরিয়াস কিছু ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন ............

সমস্যা হচ্ছে আপনি যখন সমাজের সিরিয়াস কিছু ইস্যু নিয়ে কথা বলবেনসলিউশনের উপায় বের 
করার
 চেষ্টা করিতখন আশপাশের মানুষ ছুটে আসে ছুটে আসে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ডিমোরালাইজ 
করে
 আসলে যারা সমস্যায় ডুবে আছেতাদের শত চেষ্টাতেও বুঝানো কষ্টকর হয়ে যায় যাদের মূলেই 
প্রবলেম
তারা তখন উপরের শাখাপ্রশাখা কি বুঝবে?! 

আর একজন মানুষ একটা জিনিস যা চিন্তা করেযেভাবে চিন্তা করেআরেকজন মানুষ তেমন ভাবে 
চিন্তা
 করে না
 দুইটি চিন্তা এক লেভেলে আসাটাই হল সবচেয়ে Toughest Part. নারী পুরুষের ফিতনা 
নিয়ে
 যা হচ্ছে এই সমাজে তা নিয়ে অনেক কথা বলা যায়লিখা যায় কিন্ত যখন কিছু লিখা হয় তখন 
মানুষজন
 এসে আজাইরা প্যাঁচাল পারা শুরু করে মুল জিনিস থেকে সরে এসেআশপাশ ফিত্নাহভরা 
দেশ
 থেকে উদাহরণ নিয়ে এসে আমাদের পরিস্থিতির সাথে বিচার করে বসে 


হিকমাহ
হিকমাহের প্রয়োজন


 দুঃখের
 বিষয় হচ্ছে ফেইসবুকে দাওয়াহ দেয়া আর উলুবনে মুক্ত ছড়ানো একই কথা অনেক বড় 


ভাইবোন
 খুব সুন্দর সুন্দর লিখা লিখেন যারা বুঝার তারা বুঝেযারা বুঝে না তারা বুঝেই না বাস্তবে 

কাজ
 করতে হবেসমস্যা হল একটাই এখানকার মত অনেক লোকের কাছে মেসেজ পৌঁছানো সম্ভব 
হয়
 না কিন্তু যখন ফেইসবুক ছিল নাতখন কিন্তু ঠিকই ইসলাম ছড়িয়েছে সবই আল্লাহর ইচ্ছা 
বাস্তব
 জগতে কাজ করার মধ্যে একটি ভালো লাগা কাজ করেনিজের মনে একটা প্রশান্তি আসে
নিজেকে
 অনেক ডেভেলপ করা যায়

 আল্লাহ্
‌ আমাদের সবাইকে এই অবাস্তব জগত ছেড়ে বাস্তব জীবনে অনেক অনেক কাজ করার তৌফীক 
দান
 করুন আমিন

Saturday, November 23, 2013

সুপারহিরোজ ও আমরা

সমস্যা হল আমরা কখনোই আমাদের নিজস্ব সুপারহিরোদের জীবনী পড়ি না। তাই যখন হতাশ হয়ে পড়ি তখন পাশ্চাত্যের সুপারহিরোদের জীবনী মুখুস্ত করি, তাদের বানী আউড়ে বলি- অমুক আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে ব্যর্থতাকে হারাতে হয়, তাদের ঘটনা আমাদের অনুপ্রাণিত করে তুলে। আর সেভাবেই আমরা নিজেদের জীবন পরিচালিত করি। হতাশার মাঝে আশার আলো তখন হয়ে উঠে সেসব ওয়েস্টার্ন সুপারহিরোজ।

আফসোস! কয়জন পড়ে আমাদের নিজস্ব সুপারহিরোদের জীবনী? কয়জন মানে? কয়জন তা উপজীব্য করে অনুপ্রাণিত হয়? কয়জন তাঁদের মত হবার স্বপ্ন দেখে? কয়জন তাঁদের মত করে জীবনকে গড়ে তুলে? উত্তর- দেখি না তো তেমন। 

ইচ্ছে হয় একবার তাদেরকে ধরে ধরে জাস্ট আর রাহিকুল মাখতুম পড়াবো। অন্যগুলো পরে। খুব ইচ্ছে হয়। জানি না পারব কিনা। কেননা তারা এখন সেই তথাকথিত সুপারহিরোদের স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছে। যদি পড়ত, তাইলে বুঝত সুপারহিরো কারা ....

আর রাহীকুল মাখতুম (বাংলা) | একটি অনবদ্য সীরাত-গ্রন্থ


আবদুল্লাহ ভাইয়ের ব্লগ 
থেকে বাকি অংশটুকু ভালো লাগলো বলে দিলাম।

অসাধারণ সুন্দর আর ঝরঝরে-পরিষ্কার সীরাতের আলোচনা শুনতে চাইলে কালামুল্লাহ থেকে ডাউনলোড করে নেয়া যায়। মাক্কী আর মাদানী জীবনকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। মাক্কী জীবন দিয়ে শুরু করাই সুবিধাজনক বলে শুনেছিলাম অনেকের কাছে- লিঙ্ক


জাযাকাল্লাহ খাইরান। 

Friday, November 22, 2013

গরমের দিনে মসজিদ এবং আমরা

স্পেশালি খুব গরমের দিনের ক্ষেত্রে- 


আমরা সালাম ফিরানোর সাথে সাথেই এক একজন দে ছুট। একেকজন ঘামে ভিজে চুপচুপে, কোনোমতে মসজিদ থেকে বের হতে পারলেই বাঁচি এই অবস্থা। 



ব্যতিক্রম হল- মসজিদটা যদি এসি হয়। সাধারণত মসজিদের নিচতলায় এসি থাকে, উপরের ফ্লোরগুলোয় থাকে না। গরমের ঠ্যালায় আগে পালিয়ে বাঁচা মানুষগুলো তখন নিচতলায় ভিড় জমায়। সেটা সালাত হোক আর যাই হোক। এমনি এমনি বসে থেকে ইতিউতি করা। অন্যরা সালাত আদায়ে ব্যস
্ত সেদিকে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই, ধুপধাপ করে হাঁটাচলা করা, ফ্রি ফ্রি এসির বাতাস, আরাম আর আরাম।


আমাদের মহল্লার বিশাল মসজিদে জুম্মাহসহ অন্য ওয়াক্তগুলোতে ঠিক এমনই সব ঘটনা হতে দেখেছি।


১ম পক্ষ সালাতের সাথে সাথে আল্লাহর ঘরের কথা ভুলে যায়, গরমটাই তাদের কাছে তখন মুখ্য মনে হয়।


ব্যতিক্রম পক্ষ আসলে সালাতের নিমিত্তে নয়, চান্সে কিছু ফ্রি ফ্রি ঠাণ্ডা হাওয়ায় গা জুড়ানোটাই মুখ্য মনে করে।


দুঃখের বিষয় হল- এটা ভুলে যাই যে, আল্লাহর ঘরে আমি কেন আসলাম? কি করছি? বাইরের তুলনায় এটা কি নিরাপদ নয়?


(বিক্ষিপ্ত চিন্তাভাবনা)