Tuesday, August 27, 2013

উপলব্ধি-২

একটা মানুষ জন্ম নেয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সে শুধু ছুটে বেড়ায়। কেউ টাকার পিছে, কেউ আরামের পিছে, কেউ অসম্ভব জ্ঞানের সন্ধানে। ছুটছে তো ছুটছে। একটা প্রশ্ন আমার মাথায় খুব ঘুরত, এখনো ঘুরে। আসলে সবই ধান্ধা ছাড়া আর কিছুই না। তবে এক একজন এক এক ধান্ধার পিছে ছুটছে প্রতিনিয়তই। এই যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি আমরা। পড়ছি তো পড়ছি। ব্রেনে জ্ঞান একেরপর এক ঢুকিয়েই যাচ্ছি। অনেকে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাবো। কেউ কেউ চাকুরিতে ঢুকবে। বিয়ে করবে। বাচ্চা-কাচ্চা পালবে। এদেরকে বড় করবে। বুড়ো হবে। একদিন ফুঁস করে চলে যাবে। তো কি লাভ হল আমার এই জ্ঞান অর্জনের?!

আমার এক নিকটতম বন্ধু বলেছিল-  
যতই তুই বেশি জানতে চাইবি, ততই জ্ঞানের জানালা একেরপর এক তোর সামনে খুলতেই থাকবে, শেষ হবে না কখনো। কি লাভ খুলে বল, থাক না বন্ধ।

মানুষের অজানাকে জানার স্পৃহা বহুদিনের। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। কিন্তু কেন যেন মনে হয় মানুষ কোন একটি চক্রে আবদ্ধ। এমনটিই ঘটছে কিন্তু। আমার সমমনা বন্ধুরা আমাকে প্রায়ই বলত- এসবের লাভ-লোকসান বুঝিয়ে। ধর্মের দিক দিয়ে বুঝাতে চাইত যে-

দেখ তুই যদি আমল না করিস, তোর এত এত লেখাপড়া দিয়ে কিছুই হবে না। আসলে সব কিছুই ভ্যাল্যুলেস- দুনিয়াবী জ্ঞান।

কিন্তু পাল্টা আমি যখন প্রশ্ন করতাম-

তুই এখানে কেন? তোর তো আমার সাথে তাহলে থাকার কথা না। আমি দুনিয়াবী জ্ঞানে দীক্ষিত হচ্ছি কিন্তু তুই কেন। তোকে তাকদির মেনে নিতে হবে, বন্ধু। ইট ওয়াজ রিটেন, দেটস হোয়াই উই আ হিয়া। 

আর কোন কথাই মুখ দিয়ে বের হত না। বুঝে গেছে যে কেন এখানে কবি নীরব।  

দুনিয়াবী জ্ঞান আর অন্য জ্ঞান যাই হোক না কেন? লোকজনের মেইন সমস্যা- তারা খুব কমই প্রয়োগ করে যায় দুনিয়াতে নিজেদের অর্জিত জ্ঞান। এখন আমার অনেক বন্ধুই বলবে-

সবই মোহ, এ ছাড়া কিছুই নয়।

আমি বলি- মাই ব্রাদার, তোমার চিন্তা আর আমার চিন্তার এখানেই তফাৎ। আমি বিশ্বাস করি- সেই জ্ঞানে যে জ্ঞান আমি প্রয়োগ করতে পারব। সেই জ্ঞানের আমার কোন দরকার নাই যে আমি সারাটা জীবন ইনপুট দিয়া গেলাম। কলুর বলদের মত চাকরি করলাম। একদিন চলেও গেলাম পৃথিবী ছেড়ে। সময়গুলা পুরাই নষ্ট।  
                                                        


আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে কিছুদিন পরেই আমি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে যাচ্ছি। এখনো আমার জ্ঞান অন্বেষণের অনেক কিছুই বাকি বলতে গেলে। আমি জ্ঞানের পিছে ছোটা একজন মানুষ, যে কিনা মৃত্যুর আগে তার জ্ঞানের প্রয়োগ দেখে যেতে চায়। আমার ফিল্ডে সেটা খুবই সম্ভব। ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছি, অনেকের ভুল ধারনা এরা খালি ঘুষই খায়!! ভালোও কিছুও করা যায় মানুষের জন্য এই জায়গা থেকে। ধরুন, আমার উচ্চশিক্ষা যদি হয় নবায়নযোগ্য শক্তির উপর, তাহলে সে ক্ষেত্রে আমার জাতিকে সাধ্যমত সাহায্য করব। এভাবে অন্যান্য প্রকৌশলী ভাইয়েরাও নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবেন বলে আশায় রাখি। আশায় আছি ইনশাআল্লাহ্‌ আমার সমমনা কয়েকজন ভাইকে আমার পাশে পেয়ে যাবো। 

এক পি.এইচ.ডি পড়ুয়া বড় ভাই বলছিলেন- যখন মানুষ বেশি জ্ঞানী হয়ে যায়, তখন দুই ধরনের ঘটনা ঘটে। হয় সে আল্লাহ্‌ভীরু হয়ে যায়, না হয় সে পুরো ছারখার হয়ে অস্তিত্ব অস্বীকার করা শুরু করে। 

এত কিছুর পরেও আমাদের একটা জিনিস বাদ গেলে চলবে না কিন্তু। জ্ঞান অন্বেষণ করছেন, ভালো কথা। প্রতিনিয়ত আল্লাহকে স্মরুন করুন। বিপদে তাঁর কাছে সাহায্য চান। ধৈর্যধারন করুন। আপনাকে কে এমন অমিত প্রতিভার অধিকারী বানিয়েছেন তাঁর কথা মনে রাখুন। নিশ্চয়ই অভীষ্ট লক্ষ্যের পথে আল্লাহ্‌ আপনার সাথে থাকবেন। ইনশাআল্লাহ্‌।  


[একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত]

Tuesday, August 20, 2013

সুন্দর ও শিক্ষনীয় একটি গল্প

একজন প্রফেসর ক্লাসে প্রবেশ করলেন অর্ধ পূর্ণ একটি গ্লাস হাতে। তিনি এটি সোজা করে ধরে তার শিক্ষার্থীদের বললেন, “এই গ্লাসটার ওজন কত হবে?”

“৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম”, শিক্ষার্থীরা জবাব দিলো।

প্রফেসর বললেন, "আমি এর ওজন জানি না কারন আমি এটি পরিমাপ করিনি! কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এই গ্লাসটি কিছুক্ষন এভাবে ধরে রাখি কি হবে তাহলে?"

শিক্ষার্থীরা বললেন, "তেমন কিছুই হবেনা!"

"আচ্ছা তাহলে আমি যদি এটা কয়েক ঘণ্টা এভাবে ধরে রাখি তাহলে কি হবে?"
"আপনার হাতে ব্যথা শুরু হবে।"
একজন ছাত্র বললেন।
"ঠিক আছে, তাহলে আমি যদি এটাকে এক দিন এভাবে ধরে রাখি তাহলে?”

আরেকজন বললেন “আপনার হাত অসাড় যেতে পারে; আপনার পেশী গুলো কাজ করবে না এবং আপনি প্যারালাইসড-ও হয়ে যেতে পারেন এবং নিশ্চিত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে!”

শিক্ষার্থীরা একটু মজা পেতে শুরু করল, কেউ কেউ হাসলও। প্রফেসর বললেন, "খুব ভালো, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কি এর ভরের বা উপাদানের কোন পরিবর্তন হবে?"

উত্তর আসলো “না”।

"আচ্ছা তাহলে সময় বাড়ার সাথে সাথে কেন আমার স্বাস্থ্যের অবনতি হবে?”

শিক্ষার্থীরা একটু দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ল।
"আচ্ছা, আমি যদি ব্যথা কমাতে চাই তাহলে আমাকে কি করতে হবে?"
একজন শিক্ষার্থী বলল "গ্লাসটাকে নামিয়ে রেখে দিতে হবে।" প্রফেসর একটু আনন্দিত হয়ে বললেন, "এক্সাস্টলি!"

আমাদের জীবনের সমস্যাগুলোও এমনই। কিছুক্ষন সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করলে,তেমন কিছু হবেনা। কিন্তু যদি সারাদিন শুধু সমস্যা নিয়েই চিন্তা করো তাহলে সেটা তোমাকে কষ্ট দিতে শুরু করবে। তুমি সমস্যা গুলো নিয়ে যত যত বেশি চিন্তা করবে তোমার কষ্টগুলো বাড়তেই থাকবে, যার ফলে তোমার সব কাজ বন্ধ হয়ে যাবে;
জীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন, কিন্তু এর থেকে আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলা।

প্রতিদিনের সমস্যাগুলো, ওইদিনই ভুলে যাও, রাতে খুব ভালো করে ঘুমাও এবং পরেরদিন নতুন করে শুরু করো । এভাবেই, তোমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিটি সমস্যাকে মোকাবেলা করতে পারবে, দেখবে তোমাদের সামনে যত চ্যালেঞ্জ-ই আসুক না কেন তুমি জয়ী হবেই।

Monday, August 19, 2013

অনুজদের প্রতি অনুরোধ

পূর্বকথাঃ 

লিখাটা আমার সকল অনুজদের জন্য। অনুরোধ করছি তোমাদের একটু চিন্তা করে দেখার জন্য।



চার বছর আগে যখন আমি এই বিদ্যেপিঠে পা রেখেছিলুম, স্পষ্ট মনে আছে অরিয়েন্টেশনের দিন তৎকালীন শ্রদ্ধেয় কমান্ডেন্ট স্যার ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের একত্রে ঘুরাঘুরি, গাছতলায় আড্ডা মারা- নানাবিধ কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। ক্যাম্পাসের সেই প্রথম নিট এন্ড ক্লিন দিনগুলির কথা খুব মনে পড়ে। আফসোস হয়। আমি যখন এসেছিলাম, কদাচিৎ দু’একটা ডিপার্টমেন্টে জোড়া দেখেছিলাম। তখন এসব রেয়ার কেইস ছিল। আমরা এসে যাদের ফাইনাল ইয়ার পেয়েছিলাম তাদেরই মধ্যে একজন ভাই আমাকে সেদিন বললেন-

“ক্যাম্পাসটা ‘জিয়াউদ্যান’ হয়ে গেছে। তোমরা ফাইনাল ইয়ার, কিছু কর।”

আমি জানি না আমার এখানে কি করার আছে? আমি বড়জোর সচেতনতামূলক একটা স্ট্যাটাস দিতে পারব। সবার কাছে গিয়ে গিয়ে তো নিষেধ করতে পারি না যে- ‘এ-ই এসব করো না’।

ছোটদেরই উচিত বড়দের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া। সবার উপর পরিবার থেকে শিক্ষা- এরকম একটা ব্যাপার আছে। গতকাল শ্রদ্ধেয় বড় ভাই+শিক্ষক অভিযোগ করলেন- রাস্তায়-পথে কোন স্যার সামনে দিয়ে গেলেও তাদের হুঁশ থাকে না, তারা তাদের কাজ চালায় যায়। একটু সালাম তো দেওয়া যায়, এমন অবস্থায় দেখেও না দেখার ভান করা সত্যি দুঃখজনক। 

আমি একে নৈতিক অবক্ষয় বলব কিনা সেটা বুঝতে পারছি না। হয়তোবা আমাকে কেউ বলতেও পারে- আমি এসবে জড়িত নই বলে বুঝি না ব্যাপারগুলো। অথবা কেন জ্ঞান দিচ্ছি হঠাৎ! আসলে দেখতে খারাপ লাগে, মানে দৃষ্টিকটু লাগে। দিন দিন সেটা চক্রবৃদ্ধিহারে আশংকাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। বড়ই দুঃখের ব্যাপার। এবং সাম্প্রতিককালে এসব একটু বেশীই চোখে পড়ছে।   

অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- অনেকেই এসব হুজুগেই করে। প্রথম প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিজেকে মুক্ত-স্বাধীন-বাধনহাঁরা ভাবতে থাকে একটি ছেলে বা মেয়ে। আশেপাশে দেখে অথবা অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের দেখে অথবা হোস্টেলের রুমমেটদের পূর্ব থেকে চলে আসা সম্পর্ক দেখে অনেকে একাকীত্বে ভুগে অথবা বন্ধুরা খোঁটা দিতে থাকে তার কেউ নেই এই বলে। তাই উঠে পড়ে লাগে ‘একজন’ খুঁজাতে- যে চারটা বছর তার পিছে সময় দিবে। পেলে তো ভালোই হল- যাক টাইমটা ভালোই পাস হবে। এর পরের কথা কারোরই মাথায় থাকে না। মানে ভবিষ্যৎ চিন্তা। এরই মধ্যে অনেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। অসৎ সঙ্গে লোহা ভাসে। কিন্তু যখন বোধের উদয় হয় তখন আসলে সব সময় শেষ। কিছুই করার থাকে না।

আমাদের সবাইকে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। আশা করি কোন ধর্মেই এমন কিছু করার কথা বলা নেই। আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি এটা ইতোমধ্যে সবাই আশা করি বুঝে গেছে :) 


                                   
           



মুসলিম হিসেবে ছোট ভাইবোনদের কাছে জিজ্ঞেস করব- তারা তাকদির বলে যে একটা ব্যাপার আছে সেটা জানে কিনা? যদি না জানে তাহলে দুঃখজনক। জেনে থাকলে একটু চিন্তা করতে বলব গভীরভাবে। ইসলাম বিবাহের আগে কোনরূপ সম্পর্ক সমর্থন করে কিনা? তোমাদের বর্তমান চলমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে তোমাদের ইচ্ছেয় পরিপূর্ণ হবে- তোমরা এতে কতটুকু শিউর? আল্লাহ্‌ সবার ভাগ্যে কি হবে তা সব কিছুই জানেন। এবং সবকিছুই পূর্ব নির্ধারিত। আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সৎ কি অসৎ হবেন, কে হবেন সব আল্লাহ্‌ ঠিক করে রেখেছেন। কখন হবে আল্লাহ্‌ জানেন একমাত্র। আগে হোক পরে হোক সবার সাথে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ্‌। তাহলে এই-যে ‘আমরা আব্বু-আম্মুকে কষ্ট দিতে চাই না এজন্য নিজেই নিজেদেরটা ঠিক করে ফেলেছি’ এর মত ঘটনা করে ফেলেছি- এটাতে কি এটাই প্রমাণ হল না যে- আল্লাহ্‌র প্রতি আমাদের কোনই আস্থা নাই। আমরা কি এসব সম্পর্কে জড়িয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ সঙ্গীর সাথে অন্যায় করে ফেলছি না? আরও অনেক কিছুই হয়- তা আমি বলছি না। বুঝে নেন সবাই। আমানতের খিয়ানতের মত ব্যাপার। অনেকেই এখন বলবে-

“সব কিছুর মধ্যে ধর্মকে টেনে আনার কোন মানে নাই”।

তাদেরকে বলব-

“অবৈধ কিছু করে ফেলার পর যদি বিবেক বলে কিছু থেকে থাকে, অনুশোচনা হবে, ঠিক? তখন তো ঠিকই আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ করবা, তওবা করবা, ধর্মকর্ম শুরু করবা” 


অনেকে দেখি ধর্মকর্মও করে, আবার এসবও চালায় যায়। দুই নৌকায় পা রেখে শেষ পর্যন্ত- আমও যায়, ছালাও যায়। আসলে এরা সবাই ভণ্ড।


আসলে আমরা সবাই কমবেশি ভন্ড। মাঝেমাঝে নিজের সাথেও ভন্ডামির চেষ্টা করি।

তবে একজনের কাছে ভন্ডামি করা যায় না ... সেটাই ভয়, আশা, ভালোবাসা - সবকিছুর কেন্দ্র ।

আজ তুমি যখন ভালোবাসার জন্য আহাজারি করছো। ডানে-বামে তাকিয়ে দেখো কেউ খাবারের জন্য কাঁদছে, মরেও যাচ্ছ। আবার অসুস্থতায় ও চিকিৎসাহীনতায় মারা যাচ্ছে।

অনেক কথা লিখে ফেললাম,আজ আর নয়। চিন্তা কর। কোন পথে যাচ্ছে তোমার জীবনটা। সবার দেখাদেখি নিজেকে গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসিয়ে দিও না।

এক পরিচিত বড় ভাই বলেছিলেন- 

আমরা জানি, নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সমস্ত দোয়া কবুল করেন এবং দোয়ায় ভাগ্য ফিরায়। তাইতো এই ভয়ংকর সময়েও আমরা স্বপ্ন দেখি সুন্দরের, প্রশান্ত আত্মার। এই স্বপ্ন কোন ক্ষুদ্র স্বপ্ন নয়-- স্বপ্নের সুতোর এই প্রান্তে মালা গাঁথছি যখন, অন্য প্রান্তেও তখন আমাদের হয়ে মালা গেঁথে যাচ্ছে জান্নাতে, যেখানে শান্তিই শান্তি। আমাদের কাজই তো তৈরি করে দেয় আমাদের ভবিষ্যত, যে ভবিষ্যত অনন্ত কালের। যা সুন্দর কর্মের মানুষদের জন্য অনন্ত সুন্দর, অনন্ত শান্তির, সুখস্বপ্নের!

তাই আসুন নিজে সুন্দর থাকি, আশপাশটাকে সুন্দর রাখি। আর একটু গভীরভাবে চিন্তা করি। আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করেন- এই দু’আই করি। আমিন।

বি.দ্রঃ একান্ত নিজস্ব অভিমত। আমার মত যারা চিন্তা করেন তারাও এব্যাপারে একমত হবেন বলে আশা করি। আরও অনেক কথা বলার ছিল, মনে নাই, লিখতে পারি নাই। অনুজদের প্রতি লিখলাম। আসলেই এটা গভীরভাবে চিন্তার বিষয়, কেননা সময় গেলে সাধন হবে না। সবাইকে লিখাটা ধৈর্যসহকারে পড়ার জন্য জানাই অনেক ধন্যবাদ।


জাযাকাল্লাহ খাইরান।


মোঃ আদিব ইবনে ইউসুফ

১৯ অগাস্ট, ২০১৩         


ফেসবুক নোটস লিঙ্ক 

Sunday, August 4, 2013

বোন আমার......

পূর্বকথাঃ


নিম্নোক্ত লিখাটা আমার নিজের নয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের এক ডাক্তার ভাইয়ের লিখা। এক ভাইয়ের কাছ থেকে সংগৃহীত লিখাটা। ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবে দিয়েছিলাম। তখন ছোট ভাই নাসিফের অনুরোধে লিখাটা নোট করে রাখার পর ব্যাপক সাড়া পাই। এজন্য সিদ্ধান্ত নিলাম লিখাটা ব্লগ করে রাখব। 


বোন আমার,

যখন কোন প্রকৃত মুসলিম ছেলে আপনার দিকে তাকায় না তখন ভাববেন না যে আপনাকে সুন্দর দেখাচ্ছে না বলে তাকাচ্ছে না, সে তাকাচ্ছে না কারন সে আল্লাহকে ভয় পায়।

হয়ত কখনও আপনার দিকে চোখ পড়ে যায়, সে চেষ্টা করে নিজেকে বিরত রাখতে, চোখকে ফিরিয়ে নিতে। কারণ সে আল্লাহ কে ভয় পায়।

কিন্তু আপনি হয়ত জানেনা না যে একজন সুন্দরী মেয়ের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়াটা তার জন্য কতটা কষ্টসাধ্য। সে তো ফেরেশতা নয় যে শুধু ভালো কাজই করতে পারবে। আল্লাহ তাকে আপনার চেয়ে অনেকগুন বেশী টেস্টোস্টেরণ দিয়েছেন, তাকে টেস্টোস্টেরণ তৈরীর অঙ্গই দিয়ে দিয়েছেন, যা এই ইমোশনাল ড্রাইভকে প্রভাবিত করে। এ কারণে আল্লাহর এই হুকুম পালন করতে গিয়ে সে একটা মানসিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। একজন নারীর অসমতল দেহ চোখে পড়লে, তার মস্তিস্কের অবচেতন অংশ চেষ্টা করে তার সচেতন মস্তিস্কের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে। মনের অজান্তেই চোখ তার (নারীর) দিকে চলে যেতে চায়। তবু সে (প্রকৃত মুসলিম ছেলে) অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যায় যেন তার চোখকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং মনে মনে আশা পোষণ করতে থাকে যে একদিন আল্লাহ মনোনীত পন্থা বিয়ের মাধ্যমেই সে তার চোখকে শীতল করতে পারবে, তার অবচেতন মনকে সচেতন কিন্তু নিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রশমিত করতে দিতে পারবে।                                                              



                                           
                                        


বোন আমার,

আপনি হয়ত ভাবছেন আপনি কি পোষাক পড়বেন, আপনি পর্দা করবেন কি করবেন না সেটা নিয়ে ছেলেদের এত মাথা ব্যাথা কেন? উপরে আমি যে বললাম উক্ত মুসলিম ছেলেটি একটি মানসিক যুদ্ধে থাকে। এই যুদ্ধে তাকে অবিরাম জয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জয়ী হলে সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, পরাজিত হলে অনুশোচনা তাকে কুড়ে খায়। (লক্ষ্যনীয়, আপনার টেস্টোস্টেরণ কম থাকায় আপনার কিন্তু এরুপ কোন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না) অধিকন্তু এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বিয়ে করার মাধ্যমে তার মনকে প্রশমিত করার পদ্ধতি গ্রহন করেনি। অথচ আপনি যদি এমন পোষাক পরিধান করেন যা আপনার অসমতল শরীরকে সমতল ও অনাকর্ষণীয় করে দেয় তখন তার জন্য এই মানসিক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন কমে যায়। (আর আল্লাহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে পোষাক পরিধান করে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের ব্যাপারটাতো আছেই)।

আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন, সেই সকল ছেলেরাই আপনার পর্দার ব্যপারে সচেতন করতে চায় যারা সবসময় আল্লাহর হুকুম মেনে চলতে চেষ্টা করে। যারা আপনার দিকে তাকিয়ে নিজের মনের আকাঙ্খা নিবৃত্ত করে তারা কিন্তু আপনাকে এই ব্যাপারে বলে না।


বোন আমার,

একজন মুসলিম ছেলে যদি নিজের ও তার বোনের কল্যানের জন্য পর্দার কথা বলে তার বোনকে কষ্ট দিয়ে থাকে তবে সেই সকল ভাইদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। অথচ এই ছেলেদেরকেই আপনার প্রয়োজনের সময় দেখবেন আপনার সঙ্গে কথা বলছে সম্মান রেখে। এই ছেলেটিকেই আপনার নিরাপত্তার জন্য সবার আগে স্বর উচ্চৈ: করতে দেখবেন।


বোন আমার,

ফেসবুকে বসে অবৈধ কথোপকথন, আড্ডায় বসে অপ্রয়োজনীয় হাসাহাসি, প্রেমের নামে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকতে এই যুবকেরা আপনাদের সহোযোগিতা কামনা করছে। আপনাদের সুন্দর সৌষ্ঠব নয়, আপনাদের ব্যাক্তিত্বকে সাথে নিয়ে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে মার্চ করতে চাইছে। আপনারা কি পারবেন না আপনাদের এই বিশ্বাসী বন্ধুদের কে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে সহযোগিতা করতে?

বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আনুগত্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। এদেরই উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করবেন।” (আত-তওবা ৯:৭১)।


এতক্ষণ কষ্ট করে সময় নিয়ে পুরো লিখাটা পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহ খাইরান। 


কৃতজ্ঞতা:

ডাঃ আব্দুল্লাহ সাইদ খাঁন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। 

Thursday, August 1, 2013

উপলব্ধি-১

 আমি আমার এই ছোট্ট জীবনে আশেপাশে অনেককেই নিজ সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে অনেক কাজে ব্যস্ত হতে দেখেছি। দুনিয়ার ছোট একটা কাজের জন্য গর্ব করতে দেখেছি। সাফল্য লাভের পর হিংসা করতে দেখেছি। মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করার পরও তাদের এই বিপথে চলে যাওয়া আমাকে অবাক করত। তারা রীতিমত অস্বীকার করে বসত অস্তিত্ব। আবার কেউ কেউ স্বীকার করলেও মানতে চাইত না। ধর্মটাকে ১৪০০ বছরের পুরনো মনে করত। করত বলতে এখনো অনেকেই করে। নাম বলছি না আমি তাদের। বলতে চাইও না। ওদের মূর্খতা আমাকে ব্যথিত করে। হায়!

"হাতের কাছে এই তো মানিক
সামনে এসে দাঁড়ায় খানিক
আবার অন্যদিকে যায় চলে সে মুখটি ফিরাইয়া"

হাতের কাছেই আছে পথের দিশা আল-কুর'আন। তার পরেও তারা ফিরেও তাকায় না। আলহামদুলিল্লাহ্‌। কোন এক অজানা কারনে আল্লাহ্‌ আমাকে এসব থেকে মুক্ত রেখেছেন। জীবনে যত বড় বড় সাফল্য আমার তা একমাত্র আল্লাহর জন্যই হয়েছে। আজ এতদুর পর্যন্ত যে আসতে পেরেছি তার জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি সর্বদাই। কিন্তু আমার আশপাশের মানুষেরা একের পর এক সাফল্য পেয়েই চলেছিল/চলেছে তাদের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নাই। দম্ভ ভরে তারা ক্রেডিটটুকু নিজের বলেই দাবি করে বসে। 

আলহামদুলিল্লাহ্‌। এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করে ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় শিক্ষা ও মূল্যবোধের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। তারপরেও কখনো কখনো বিপথে চলে গিয়েছিলাম অসৎ সঙ্গে পরে। প্রতিবারই আমার জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে কেউ না কেউ আবির্ভূত হয়েছেন বন্ধুরুপে। এটা একটা মিরাকল আমার জন্য। এই ছোট্ট জীবনে আমিও বার বার ভুল করেছি উঁচু আকাঙ্ক্ষায় ডুবেছি। ব্যর্থ হয়েছি। জীবনের মোড় ঘুরে গেছে। কিছু মানুষকে এক্সপেক্ট করতাম খুব তাদের পাইনি। হতাশ হয়েছি। আল্লাহ্‌ আমায় রক্ষা করেছেন। বন্ধুরা পরিবর্তন দেখে অবাক হয়েছে। তারা বারবার চেয়েছে আমি যেন তাদের পথে চলি। ভেতর থেকে কে যেন বলে উঠেছে তখন- আজ যার কথা শুনছি, উঠছি বসছি আল্লাহর কথা বাদ দিয়ে। তারাই আগামীকাল আমি যখন এই ধরাধাম ছেড়ে চলে যাব তখন আমার এই দেহ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। হয়তোবা ইহকালে আপনারা ছিলেন কাছাকাছি সম্পর্কের কিন্তু মারা যাবার পর এই লাশটাকে সহ্য হবে না কিভাবে অতি তাড়াতাড়ি তাকে কবরস্থ করা যায় তার জন্য তারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়বে। একটু চিন্তা কর- আমি/আমরা কার কথা বাদ দিয়েছিলাম। এক আল্লাহর, যিনি আমার ইহকালেও আছেন পাশে, পরকালেও থাকবেন পাশে- তিনি আমার সৃষ্টিকর্তা। আর আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির কথা ভুলে গিয়ে আমাদের মতই এক ইনসানের সন্তুষ্টিতে ব্যস্ত আজ। নিশ্চয়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ। চিন্তা কর গভীরভাবে চিন্তা কর।

বন্ধুরা যখন দুনিয়ার লেখাপড়ায় ব্যস্ত ছিল, গল্প-গুজবে ব্যস্ত ছিল, তখন আমি প্রায়ই নির্জনে কাটিয়েছি সময়। সবাইকে ছেড়ে একটু একা হয়ে গিয়েছি। কার কার কাছে আমাকে আনস্যোসাল, হতাশ লেগেছিল তখন। কেউ কেউ আমার এই পরিবর্তন পছন্দ করছিল না। দু’টা বছর অন্ধকারে থেকে হঠাৎ আলোর সন্ধান পেয়ে বসা এই আমি তখন একের পর এক জ্ঞান সন্ধান করে চলছি। চলার পথে পড়েছি নাম ভুলে যাওয়া অনেক বই। ছোটবেলা থেকে নতুন বই পড়ার প্রতি এক দুর্বার আকর্ষণ ছিল আমার। পদে পদে ধাক্কা খেয়েছি। হায়! আমি কি করেছি!! আমরা কি করছি!!! মনে প্রাণে চাইলাম আশেপাশের লোকজনদের আমার এই জ্ঞান ছড়িয়ে দিব। অবজ্ঞা পেয়েছি। হুমকি পেয়েছি। আবার ভালোবাসা পেয়েছি। শ্রদ্ধা পেয়েছি। সবই আল্লাহ্‌র ইচ্ছা। আল্লাহু আলেম।
সবসময় পাশে ছিল/আছে আল-কুর’আন। তারপর রাসুলের সুন্নাহ হাদিস। সহীহ হাদিস সমূহ। রিয়াদুস সালেহিন। এবং কিছু খুব ভালো বই। আমার জ্ঞান এই পর্যন্তই। অনেকেই বলেন আমি কোন ইসলামিক লাইনে লেখাপড়া করি নাই, তাই আমার দাওয়াহ এর কাজ চালিয়ে যেতে সমস্যা আছে। গভীরভাবে খেয়াল করলাম, তারা বলেন আমিও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উম্মাত। তারপরেও তাদের সাথে কেন আমার এত অমিল। একটা জায়গায় তারা আটকে যান কুর’আনের আয়াতে। তারা বাপদাদার ধর্মকে বড় ধর্ম  হিসেবে মেনে নিয়েছেন। ইমোশনালী তারা কমপ্রোমাইজড। কুর’আনে আল্লাহ্‌ তাদের সম্পর্কে বলেছেন সেই ১৪০০ বছর আগেই। কি আশ্চর্য!! আমাদের বর্তমান অবস্থার কথা আল্লাহ্‌ কত সুন্দর করেই না বর্ণনা করেছেন আল-কুর’আনে, আর সেই কুর’আনকে, ইসলাম ধর্মকে ১৪০০ বছরের ব্যাকডেটেট বলে!!

তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত। [26:74]
   
আল-কুর’আনে সূরা কাহফ, সূরা আসর, সূরা ইয়াসিন আর সূরা আর-রাহমান আমার খুব প্রিয় চারটি সূরা। আমাদের মধ্যে অনেকে মুসলিম আছে নামে কিন্তু কাজেকর্মে মিল নাই। নামকরণের সার্থকতা নেই বললেই চলে। তাদের আমি একটা সাজেশন দিব। পুরো কুর’আন আপনারা পড়তে চাইবেন না আমি জানি। সেই ধৈর্য আপনাদের নাই আমি জানি। শুধু সূরা আর-রাহমান পড়ুন। দেখুন।

فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

এই আয়াতটুকু বারবার এসেছে সূরা আর-রাহমানে। পুরো সূরা পড়ুন অবশ্যই বাংলা অনুবাদ পাশে রেখে। বারবার উপরের এই আয়াতটুকু আসবে। আপনার ভেতরে যদি কিছু থেকে থাকে আমি ১০০% সিউর কাঁপুনি আসবেই। রিয়ালিজেশন হবে। কি করছেন আপনি!! কি ক্ষতিগ্রস্থই না আপনি!!
                                                                 

আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে মাত্র দুইটি সূরা। 

১) সূরা আল-আসর,  ২) সূরা আর-রাহমান। 

আমি বুঝতে পেরেছি। ভেতর থেকে কেউ একজন বলে উঠেছে তুমি যা করেছ ভুল করেছ। এবার দয়াময় আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্য চাও। যারা এখনও বুঝেন নি। ইসলামটাকে ব্যাকডেটেট ভাবেন তাদের প্রতি অনুরোধ সূরা রাহমান পড়ে দেখুন। সময় বলে দেবে আপনার পরবর্তী অবস্থা।

অনলাইনে অনেক বড় বড় ভালো ভাইয়া-আপু পেয়েছি, যাদের লিখা পড়ে সর্বদা অনুপ্রাণিত হতাম। আমার হতাশার সময়ে সেগুলো টনিক হিসেবে কাজ করেছে। আমিও ভালো লিখার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছি। নাম অনেক তাদের বলে শেষ করা যাবেনা। অনেকেই বলে অনলাইনে দাওয়াহর কাজ করে লাভ নাই, রিয়েল লাইফে কর। আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী বলেন- তুমি যেটাতে ভালো সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাও। ইনশাআল্লাহ্‌ সফলকাম হবে। হ্যাঁ আমি জানি আমি কি। চার বছর ধরে অনলাইনে আছি, অনেক মানুষের সাথে মিশেছি, কথা বলেছি। সাইকোলজি বুঝি। অডিয়েন্স প্রেশার বুঝি। আমি জানি কোথায় কোন ক্ষেত্রে আমি ভালো করব। মাঝে মাঝে নিরুপায় লাগে তারপরেও, লোকজনের মূর্খতা দেখে। তারা অন্ধের মত ফলো করে তাদের বাপ-দাদার ধর্মকে। ভুল জেনে বসে আছে, সত্য জানার পরেও তা মানতে চায় না। আমি আমার কাজ করে যাই। আমি জানি আল্লাহ্‌র কাছে আমাকেও জবাবদিহি করতে হবে। তাদের না জানালে আমাকে ধরবেন আল্লাহ্‌। কেন তাদের জানাইনাই? জানানোর পরও যদি তারা অবজ্ঞা করে আমার করার কিছুই নাই। কুর’আনে আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেছেন—

অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং বলুন, ‘সালাম’।
তারা শীঘ্রই জানতে পারবে। (৪৩:৮৯)


সময় শেষ হয়ে আসছে। জীবনযুদ্ধে আর সবার মত আমাকেও ঝাপিয়ে পড়তে আর কিছুদিনের মধ্যেই। অনলাইন দাওয়াহর কাজ সময় পেলেই চালিয়ে যাব। আগের মত রেগুলার হব না এখানে। আরও ইলম অর্জন করার ইচ্ছা আছে আমার, বাস্তব জীবনে কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। হয়তোবা কোনদিন যদি আল্লাহ্‌ সুযোগ দেন বই লিখে ফেলব আমার অর্জিত জ্ঞান নিয়ে। একটাই লক্ষ্য আমার অর্জিত জ্ঞান ছড়িয়ে দিব সবার মাঝে ইনশাআল্লাহ। আমার জন্য দু'আ করবেন সবাই।

আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাদের বিবেক বুদ্ধি বিবেচনা করে সৎ ও সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।            

জাযাকাল্লাহ খাইরান।