بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
জবান: আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অজস্র নিয়ামতের
মধ্যে একটি। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ এই নিয়ামত দিয়েছেন বলেই না কত সুন্দর করে আমরা
কথা বলতে পারছি। মাঝে মাঝে আমরা এই সুন্দর নিয়ামতের কথা ভুলে বসি। আমাদের মুখ দিয়ে
ভালোর পরিবর্তে কটু কথা, গালি-গালাজ বের হয়। অনেকসময় শিরকি কথাও বলে বসি। যে
আল্লাহ অনুগ্রহ করে জবান দিলেন, সে আল্লাহকে ভুলে সেই জবান দিয়ে আমরা মুশরিকের মত
কথা বলে বেড়াই। গীবতের মত জঘন্য কাজ করে বেড়াই। ভাইদের ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণ করে একজনের কথা আরেকজনকে আড়ালে বলে দিই।
আবার দেখুন, অনেকে আছেন কথা বলতে পারেন না। কত দুঃখ তাদের মনে।
মাঝে মাঝে তাদের খুব ব্লেসড মনে হয় আমার। তারা জবানের ব্যাপারে কিছুটা সেইফ এইজন্য
বলছি- কারণ এদিক থেকে তাদের হিসাব-নিকাশটা আমাদের চেয়ে কম হবে। আর এদিকে আমরা
জবানের হেফাজত করতে পারিনি, ক্ষণে ক্ষণে তির্যক বাক্যবাণে জর্জরিত করেছি আশেপাশের
মানুষকে। শেষ বিচারের দিন আমাদের মুখ বলে দিবে, জীবিতকালে এই জবান ব্যবহার করে
আমরা কিসব বিশ্রী বিশ্রী কথা বলে বেরিয়েছি আল্লাহর এই জমিনে। সব পই পই করে হিসাব
নেয়া হবে, ভাই।
বেশ কিছুদিন যাবৎ হল আমি অসুস্থ। এলোপ্যাথিক
চিকিৎসা শেষে হোমিওপ্যাথির দিকে নজর দিয়েছি। আল্লাহ যদি অনুগ্রহ করেন তাহলে আবার
সুস্থ হয়ে উঠব। মাঝে মাঝে কথা বলতে গিয়ে অনুভব করি আমার কথাগুলো ভেতরেই রয়ে
গিয়েছে; বের হয়নি। এমনিতেও কম কথা বলি। ভাবি, যদি বাকশক্তি হারাই, তাহলে আমার না
বলা কথাগুলো কিভাবে সুন্দর করে কাছের মানুষকে বলে শান্তি পাব? কষ্ট হয়, খুব কষ্ট
হয় কথা বলতে। জবান নিয়ে উপলব্ধিগুলো কষ্ট হয়ে ভেতর থেকে চলে এসেছে। দু’আ করবেন। আর
আমরা যেন নিজ নিজ জবানের হেফাজত করি। কি বলছি না বলছি- হিসাব কিন্তু নেয়া হবে ভাই,
এটা যেন মাথায় থাকে!
জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।
০১ নভেম্বর, ২০১৫ খৃস্টাব্দ
১৯ মহররম, ১৪৩৭ হিজরী
No comments:
Post a Comment