Sunday, December 8, 2013

ইলম ১.০

                                                                
                                                              بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

                                 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। 


আমরা সবাই মুসলিম। মানেই হল আমরা কালিমায়ে শাহাদাত স্বীকার করে নিয়েছি, ঠিক? নাকি জানিই না কালিমা কি অথবা কয়টা কালিমা আছে! জানা দরকার কি বলেন? কালিমায়ে শাহাদাত হল- 

আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইলাল্লাহু ওয়াহদাহু লা সারিকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু 

অর্থ :  আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই।আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ(সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল। 

 উকবাহ ইবন আমের বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ সুন্দর করে অযু করার পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করে তার জন্য জান্নাতের ৮টি দরজাই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করবে। [মুসলিম]

এই কালিমায় শাহাদাত স্বীকার করলেই হবে না এর তাৎপর্যগত ইলমও অর্জন করতে হবে, মেনে চলতে হবে। শুধু মুখে আল্লাহ্‌ আমার প্রতিপালক, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহ্‌র প্রেরিত রাসুল বললেই হবে না। জানতে হবে খুঁটিনাটি। মানতে হবে সব অক্ষরে অক্ষরে। 

তো ইলমের একটা পার্ট ছিল মুহাব্বাহ। ইশক আর মুহাব্বাতের মধ্যে পার্থক্য বুঝছিলাম। ইশক আর মুহাব্বাত (মুহাব্বাহ (adj) root হুব্ব) এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারার পর এক ছোট ভাই তার নিজের নাম নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল। নাম আশিকুর রহমান। বিচ্ছেদ করলে দাঁড়ায় রহমানের আশিক। আশিক শব্দটা ইশক থেকে আগত। ইশক জেনেরালি ইউজ হয় সেক্সচুয়াল রিলেশানশিপের ক্ষেত্রে, মানবীয় প্রেমের ক্ষেত্রে। আল্লাহর সাথে যে আমাদের একটা আত্মিক বন্ধন সেটা ইশক দিয়ে ডিফাইন করা যায় না। আল্লাহ্‌র সাথে যে আত্মিক বন্ধনটা সেটা হল মুহাব্বাহ/মুহাব্বাত। তদ্রুপ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথেও আমাদের মুহাব্বাহ। সুতরাং পরে যেটা চিন্তা করলাম নামে কিছু যায় আসে না, তার মাঝে যদি প্রকৃত বুঝ আর ইলমটা থাকে তাহলে সেটাই আসল। নাম তো বড় কিছু না, সে কি করছে সেটাই বড় ব্যাপার। 

আর আমি যদি এখানে অনেককে এই প্রশ্ন করি যে- এই পৃথিবীতে আপনি কাকে বেশি ভালোবাসেন? অনেকেই ফেইল মারবেন। অনেকে না। সহীহ বুখারিতে এমন একটি হাদিস পড়েছিলাম। উমার (রাঃ)কে রাসুলুল্লাহ ঠিক এই কোয়েসচেনটাই করেছিলেন। কত নং হাদিস মনে পড়ছে না, তাই উল্লেখ করলাম না। সেখানে উমার (রাঃ) বলেছিলেন- তিনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। পরে রাসুলুল্লাহর প্রত্যুত্তরে তিনি নিজেকে শুধরে নিয়ে বলেন-সেই মুহূর্ত থেকে তিনি নিজের চেয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বেশি ভালোবাসেন এবং তাঁর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পারেন। তো আল্লাহর পরে এই দুনিয়ায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে মুহাব্বাত করা আমাদের জন্য অবশ্যই কর্তব্য। আর তাহলেই আমাদের কালিমায়ে শাহাদাত মেনে নেওয়াটা সার্থক হবে। 

এই সম্পর্কিত ইলম অর্জনের পথে আছি। মুহাব্বাহ ছাড়াও আরও ৯টি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট আছে। থিসিসের কাজে ব্যস্ত বিধায় সময় হয়ে উঠছে না। এসব নিয়ে একদিন বিস্তারিত লিখার আশায় আছি ইনশা আল্লাহ্‌।

(চলবে)  

No comments:

Post a Comment