বাবা আমাকে যেদিন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলি, সেদিন ঝগড়া করেছিলাম বৃদ্ধাশ্রমের লোকজনদের সঙ্গে।
কারণ আমি তোর সঙ্গে দেখা করে আসার জন্য তাদের কাছে সময় চেয়েছিলাম, তারা সময় দিলেও শেষ পর্যন্ত তুই আসিসনি।
তুই কাজে এত ব্যস্ত থাকিস তখন আমার মনে ছিলনা। পরে মনে পড়েছিল, তাই তোর সঙ্গে দেখা না করেই চলে এসেছি। তুই রাগ করিসনি তো?
সম্প্রতি এক বৃদ্ধ মা বৃদ্ধাশ্রম থেকে তার সন্তানের কাছে এ চিঠিটি লিখেছেন। নিচে সম্পূর্ণ চিঠিটি দেয়া হলো। মা ও ছেলের স্বার্থে চিঠিতে দুজনেরই নাম ও ঠিকানা গোপন রাখা হয়েছে।
ওঃ বুঝতে পেরেছি ! এখনো আমার উপর থেকে অভিমান যায় নি বুঝি ! জানি শেষ দিনটাতে একটু বেশি রকমেরই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম, তাছাড়া আর কিইবা আমি করব বল, সময় মতো ওরা এসে আমার জিনিসপত্র সব জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নিল, তারপর বারবার তাগাদা দিতে লাগল।
কিন্তু আমি তবুও তোর আসবার অপেক্ষায় বুক বেঁধে ছিলাম । আমি তোকে জন্ম দিয়েছি। জল-আগুন-অসুখ থেকে তোকে এতগুলো বছর বাঁচিয়ে রেখেছি। তাই যাবার আগে আমাকে কি তুই না দেখে থাকতে পারবি? কিন্তু তুই এলি না!
আর সেদিন আমার সেই জেদ দেখে বউমা তো রেগেই আগুন। তাছাড়া তার তো রাগবারই কথা!
আমাকে নিয়ে যেতে যারা এসেছিলো, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা যা তড়িঘড়ি শুরু করে দিল...তা দেখবার জন্য পাশের বাড়ি থেকে কেউ কেউ উঁকি দিতে লাগল।
সেদিন তোদের যে অপমান করে এসেছি তোরা সেসব ভুলে যাস কেমন করে! আমার কথা ভাবিস না। আমি খুব ভালো আছি! আর কেনই-বা ভালো থাকবনা বল? তোরা তো আমার ভালো থাকবারই বন্দোবস্ত করে দিয়েছিস। আর সেদিন থেকে আমি বুঝতে পেরেছি আমাকে এখানে পাঠিয়ে তোরা বেঁচে গেছিস।
তবে একটা কথা, আমার কথা যদি তোর কখনো-কোনোদিন মনে পড়ে; তখন যেন নিজেকে তুই শেষ করে দিস না। তুই এখনো একশ বছর বেঁচে থাক।
আমি তো মা, তোর জন্য কত সয়েছি! এরপরেও সয়ে যাবো।
সুত্রঃ রাইজিংবিডি
কারণ আমি তোর সঙ্গে দেখা করে আসার জন্য তাদের কাছে সময় চেয়েছিলাম, তারা সময় দিলেও শেষ পর্যন্ত তুই আসিসনি।
তুই কাজে এত ব্যস্ত থাকিস তখন আমার মনে ছিলনা। পরে মনে পড়েছিল, তাই তোর সঙ্গে দেখা না করেই চলে এসেছি। তুই রাগ করিসনি তো?
সম্প্রতি এক বৃদ্ধ মা বৃদ্ধাশ্রম থেকে তার সন্তানের কাছে এ চিঠিটি লিখেছেন। নিচে সম্পূর্ণ চিঠিটি দেয়া হলো। মা ও ছেলের স্বার্থে চিঠিতে দুজনেরই নাম ও ঠিকানা গোপন রাখা হয়েছে।
খোকা তুই কেমন আছিস? বউমা আর আমাদের ছোটো দাদুভাই সবাই ভালো আছে তো? জানি তোদের তিন জনের ছোট সংসারে প্রত্যেকেরই খুব কাজ। তবুও তোদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ। একদিন একটু সময় করে এই বুড়ি মাকে দেখতে আয় না ! কিরে, আসবি না?
ওঃ বুঝতে পেরেছি ! এখনো আমার উপর থেকে অভিমান যায় নি বুঝি ! জানি শেষ দিনটাতে একটু বেশি রকমেরই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম, তাছাড়া আর কিইবা আমি করব বল, সময় মতো ওরা এসে আমার জিনিসপত্র সব জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নিল, তারপর বারবার তাগাদা দিতে লাগল।
কিন্তু আমি তবুও তোর আসবার অপেক্ষায় বুক বেঁধে ছিলাম । আমি তোকে জন্ম দিয়েছি। জল-আগুন-অসুখ থেকে তোকে এতগুলো বছর বাঁচিয়ে রেখেছি। তাই যাবার আগে আমাকে কি তুই না দেখে থাকতে পারবি? কিন্তু তুই এলি না!
আর সেদিন আমার সেই জেদ দেখে বউমা তো রেগেই আগুন। তাছাড়া তার তো রাগবারই কথা!
আমাকে নিয়ে যেতে যারা এসেছিলো, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা যা তড়িঘড়ি শুরু করে দিল...তা দেখবার জন্য পাশের বাড়ি থেকে কেউ কেউ উঁকি দিতে লাগল।
সেদিন তোদের যে অপমান করে এসেছি তোরা সেসব ভুলে যাস কেমন করে! আমার কথা ভাবিস না। আমি খুব ভালো আছি! আর কেনই-বা ভালো থাকবনা বল? তোরা তো আমার ভালো থাকবারই বন্দোবস্ত করে দিয়েছিস। আর সেদিন থেকে আমি বুঝতে পেরেছি আমাকে এখানে পাঠিয়ে তোরা বেঁচে গেছিস।
তবে একটা কথা, আমার কথা যদি তোর কখনো-কোনোদিন মনে পড়ে; তখন যেন নিজেকে তুই শেষ করে দিস না। তুই এখনো একশ বছর বেঁচে থাক।
আমি তো মা, তোর জন্য কত সয়েছি! এরপরেও সয়ে যাবো।
সুত্রঃ রাইজিংবিডি
No comments:
Post a Comment