Monday, October 7, 2013

  আমি বুঝি না একটা মানুষকে না জেনে না চিনে কিভাবে মানুষ ভুল ভেবে বসে থাকে। আমি নাম বলব না তাঁর, অন্যভাবে যদি বলি তাহলে আসবে ইউ এস গভর্নমেন্টের কথা। তারা তাঁকে সন্ত্রাসী ভাবে। আমেরিকায় জন্মগ্রহন করা এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে খোদ আমেরিকাই বিপদজনক মনে করেছিল। তরুণ সমাজে তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে নিজের দেশ তাঁকে মেরে ফেলতে বাধ্য হয়েছিল। এমনকি তাঁর ১৬ বছরের ছেলে যেও কিনা আমেরিকান তাকে ড্রোন দিয়ে মেরে ফেলেছিল। কি দোষ ছিল তার আমি বুঝি না। আজো আমার কাছে রহস্যবৃত, কেন! আসলে পৃথিবীতে ভালো মানুষের দাম নেই। আমি আমেরিকাকে ঘৃণা করি না এজন্য, সবার দোষ না, দোষ দিই তাদের তৎকালীন প্রশাসনকে। আর আমাদের ভাইগুলোও কেন যেন এদের পা চেটে বেড়ায়! আসলে পৃথিবীর মাথা বলে কথা! 

''The iman that in your heart today will be your light(in the day of reckoning),now you make up your mind how much light you want"

যারা বুঝার বুঝে গেছেন কার কথা বলছি আমি, যারা বুঝেছেন কিন্তু জানতেন না প্লিজ আমায় ভুল বুঝার আগে একবার নিজে যাচাই করে নিন।

Thursday, October 3, 2013

STORY -- THE TEMPTATION

A very beautiful daughter of very rich man in a certain community stepped out of her house to visit her aunt, who lived no more than a few streets away. Suddenly a riot erupted as she had gone halfway and she found herself trapped with apparently nowhere to go. She saw a Masjid nearby and quickly went inside.

Sitting in the women’s section The rioting continued late into the night and this girl did not know what to do. The custodian of the Masjid was a very young student there and late at night when he walked through the Masjid before locking up he noticed this beautiful young lady.

He was a respectful young man who feared Allah and so politely asked her to leave saying that if she was found there then both would be dishonored and thrown out. She pleaded with him because of the extreme danger outside and so he agreed that she could spend the night, and sat down to study at the opposite end of the Masjid.

The girl was unable to sleep with the events of the day. In her mind and so watched the young man sitting studying by candle light at the opposite end of the Masjid. She kept watching him and was very surprised at something she saw. From time to time this young man would extend his hand and keep it over the open flame. Only withdrawing it when the flame obviously became unbearable. He then would resume his studies and continued this throughout
The night until the dawn broke. The young men call the adhan and asked the girl to leave before the congregation started coming to pray since now everything was calm outside.
                                                     
                                                                    



She agreed on the condition that he tell her why he was placing his hand on the candle flame throughout the night. The young man said that was his own business and so the girl refused to leave until he told her what she wanted to know.

The young man gave in and said,

 I am at the age youth and strong desire. We were alone and my desire was increasing, and although I was studying the shaytan would occasionally put temptation in my heart. Hence whenever I would feel any temptation I would put my hand on the flame and my fingers would burn. I would say to myself that this flame is nothing compared to the fire of Hell.

The girl left the Masjid and reached home, calming her parents’ fears as to what had happened to her. She also confided in her mother that she wanted to marry custodian of the Masjid near their house.

She related the night’s events to her parents and said that only such a man with true fear of Allah in his heart can be true to his wife. Only such a man who truly fears Allah can fulfill a wife’s rights properly. Hence the poor custodian of the Masjid earned the daughter of a rich household in marriage.
He received this honor not because of his looks but because of his Character!
Everything disintegrates and turns to dust but character remains strong. Honor is not bestowed because of good looks, clothes or beautiful jewelery but because of what is in the heart.


Source: www.thequraninstitute.com

JazakAllah Khairan.

Facebook Note Link

Tuesday, October 1, 2013

উপলব্ধি-৩

এস.এস.সি পরীক্ষার পরপরই ভালো ইংরেজি শিক্ষার নিমিত্তে বন্ধুদের সাথে পাল্লা দিয়ে সাইফুরসে ভর্তি হই। ইংরেজি কতটুকু শিক্ষা হয়েছিল তা বলতে পারি না, কিন্তু অনেক নতুন নতুন জিনিস শিখে চমকিত হয়েছিলাম। স্কুলে থাকতে স্যারদের বাসার অলিতেগলিতে কদাচিৎ ছেলে-মেয়েদের একত্রে ঘুরাঘুরি করতে দেখতাম। বন্ধুরা বলত- উহারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কেমন ঘনিষ্ঠ তা কখনোই বুঝে উঠতে পারি নাই। বয়েজ স্কুলে পড়াটাকে এজন্য কিছুটা দোষারোপ করতাম। তো, সাইফুরসে এসে এসব জিনিস একটু বেশিই দেখলাম। তারা ক্লাসে এসে ইংরেজি শিক্ষা তো দুরের কথা, সারাক্ষন একে অপরের সাথে ফুসুর ফাসুর করেন, খুনসুটি করে। এসব কাণ্ডের দ্বারা তারা জনগণের কাছে একধরনের আকর্ষণীয় বস্তু হিসেবে পরিণত হয়েছিল।

আগে তারা একজন আরেকজনকে বন্ধু হিসেবে হিসেবে ভাবত জানতাম। কিন্তু তারা প্রথম ইংরেজিতে অন্যধরনের শব্দ ব্যবহার করে একে অপরকে ডাকা করা শুরু করে। বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়- বালক বন্ধু, বালিকা বন্ধু। আরে ভাই! বন্ধুইতো ভালো ছিল আরেকটা শব্দ লাগানোর কি দরকার?!

ক্লাসে এসব হরদম হত। একদিন বিখ্যাত ইয়াসির স্যার (অনেকে উনার নাম শুনে থাকবেন, আমাদের Phonetics পড়াতেন) সব শুনলেন, বললেন- 'তোমরা একটু সাবধানে শব্দগুলো ব্যবহার করিও। একটু অক্সফোর্ড ডিকশনারি দেখলে ভালো হয়।' আমি বরাবরের মতই অতি উৎসাহী, সাথে অক্সফোর্ডের পকেট ডিকশনারি ছিল, চেক করে দেখে ভিম্রি খাইলাম।
 অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে girlfriend শব্দের অর্থ হল “a person’s regular female companion in a romantic and sexual relationship”. Boy friend শব্দের অর্থও একই শুধু female এর জায়গায় male!! বুঝলাম কেন বলেছেন ইয়াসির স্যার!!

এখন এসব বেশি বেশি। আগে এসব কম ছিল। এখন সবাই করে, সেই সাথে কিছু দাঁড়িওয়ালা ভাই, হিজাব অনেক বোন যখন এসব শব্দ ব্যবহার করে এবং বাস্তবে প্রয়োগ করে দেখান, ব্যথা পাই তখনই। আগে এসব দেখার সাথে সাথে আম্মা বলতেন- বাবা! ওসব দেখ না, ওরা নষ্ট হয়ে গেছে! আম্মার কথা যদি সঠিকই হয় তাহলে- এখন বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই এর সমাধান খুঁজেন। অনেকে বলেন- যা হবার তা তো হয়েই গেছে এখন আর কি ভেবে কি হবে! অনেকে এত বছরের তিল তিল করে গড়ে তোলা সম্পর্ক চোখের সামনে নিমিষেই ভেঙ্গে পড়ুক, তা চান না।


                                                           
                                                                     


Companion, romantic and sexual relationship এর সংজ্ঞায় girlfriend, boyfriend এর অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া সেক্যুলার সমাজ এই সম্পর্কের সহজ সমাধানের পথে না হাঁটলেও মহান আল্লাহ বলছেন কুরআনে,
  “আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের (মানব জাতির) মধ্য থেকেই সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য (বিপরীত লিঙ্গের) জুড়ি, যাতে করে তোমরা বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারো! এ উদ্দেশ্যে তিনি তোমাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন হৃদ্যতা- বন্ধুতা আর দয়া- অনুগ্রহ অনুকম্পা। এতে রয়েছে বিপুল নিদর্শন চিন্তাশীল লোকদের জন্য”।
   [সূরা আর রুমঃ ২১]

অতঃপর সেই এস.এস.সির পর হতে আজ পর্যন্ত কত কিছু দেখেছি। মাসের পর মাস ঢাকা শহরে দেশের সবচেয়ে ভালো জায়গায় পড়ে আর নফসের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা আমি চাইলেই যে হাজারটা নষ্টামিতে গা ভাসিয়ে দিতে পারি এটা না বোঝা আমার আশেপাশের অন্ধকারে নিমজ্জিত জগত ঠিকই বুঝে এই বয়সে বিয়ের কথা তোলাও একটা লজ্জাহীনতা! রীতিমত হাস্যরসের বস্তু এই পবিত্র বিয়ে, তাদের হাসি ঠাট্টা দেখলেই বুঝি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্‌, আমার পরিবারের কাছে থেকে আগে যেমন শুনতাম- "বাবা! ওসব দেখ না, ওরা নষ্ট হয়ে গেছে!" এখনো তেমনি পাই, তাই নিজের বাস্তব জীবনে লালন করে চলেছি তাঁদের অমূল্য শিক্ষা। “আমার ছেলে কিন্তু আর দশজনের মত না” “আমার মেয়ে কিন্তু আর দশজনের মত না”! এই “আর দশজনের মত না” তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা পরিবাররা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারে না কিভাবে তাদের মেধাবী সন্তানেরা এই যান্ত্রিক শহরে নৈতিকতা বলি দিয়ে ঘুরে বেরিয়ে মেধাবী জীবনগুলোই অর্থহীন করে তুলছে। বরঞ্চ আমার পরিবারের গর্বের সাথে “আমার ছেলে কিন্তু আর দশজনের মত না” বলাটাকে মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি সর্বদা। এবং চেষ্টা করে যাব সামনের দিনগুলোতে ইনশাআল্লাহ।


জাজাকাল্লাহ খাইরান।

ফেইসবুক নোটস লিঙ্ক