بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
আমি মিউজিক শুনি, আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
আমি হারাম উৎসবগুলোতে অংশগ্রহণ করি, নাচানাচি
করি গানের তালে তালে। আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
কিভাবে সঠিকভাবে নামাজ পড়তে হয় সেটাই জানি
না, আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
আমি দাঁড়ি কামিয়ে ফেলি আর হিজাব বর্জন করি
(পড়ুন মহিলাদের ক্ষেত্রে)। আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
আমি কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে উল্টাপাল্টা ড্রেস
পরিধান করে ঘুরে বেড়াই। হাঁটুরও উপরে প্যান্ট পরি। কখনো কখনো কোমর থেকে অনেক নিচে
আর সেই সাথে পাতলা (মসলিনের মত) ড্রেস-আপ। এই আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
আমার আয়ের উৎস অসৎ, হারাম পথে চলি। আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
আমার আয়ের উৎস অসৎ, হারাম পথে চলি। আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
আমি বন্ধুদের সাথে মাস্তি করি আর আড়ালে
মানুষের নিন্দা করে বেড়াই। আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
সারাটা রাত আমি মুভি দেখে কাটিয়ে দিই যেখানে
সেইসময় আমি কুরআন পড়তে পারতাম। আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
সিজিপিএ বাড়ানোর জন্য কতইনা দৌড়াদৌড়ি করি। এক
ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য আমার সময় হয় না। পরীক্ষার আগে জুম্মার নামাজে ক্ষণিকের
জন্য মসজিদে উপস্থিত হই। রেজাল্টের পর আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে যার জন্য এত কিছু তাঁর
রহমতের কথা ভুলে যাই। আর আমি নিজেকে মুসলিম বলি।
আল্লাহ আমাদের জন্য কি বানী পাঠিয়েছেন তা
আমরা পড়িও না বুঝার চেষ্টাও করি না। তার বদলে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে এসএমএস
চালাচালি করি। আর আমরা নিজেদেরকে মুসলিম বলি।
কি মিল পেয়েছেন কিছু???
হ্যাঁ, আমরা হচ্ছি এই ধরনের মুসলিম।
একটু চিন্তা করুন। এধরনের জীবনযাপন কি ছিল আমাদের
নবীজী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ??
আমরা তো নবীজির জীবন চরিতই পড়ি নাই, জানবো কিভাবে? আমাদের জ্ঞান সেই নবম-দশম শ্রেণীর ইসলাম ধর্ম বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
আমরা তো নবীজির জীবন চরিতই পড়ি নাই, জানবো কিভাবে? আমাদের জ্ঞান সেই নবম-দশম শ্রেণীর ইসলাম ধর্ম বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
এটাই কি সেই বিশ্বাসীদের জীবন যেটা কুরআনে
বলা হয়েছে ??
আমরা কুরআন জানব কিভাবে?? আমরা ঘণ্টার পর
ঘণ্টা কাটিয়ে দিই রাস্তাঘাটে অহেতুক কর্মকাণ্ডে, উদ্যানে, ফোনালাপে অথবা ঘরে বসে
ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুভি দেখে।
এগুলো দিয়ে সত্যি একজন মুসলিমকে চেনা যায়???
ভাইরা-বোনেরা, আখিরাতের কথা চিন্তা করুন। আর
ধাবিত হউন তাঁর কাছে যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
দুনিয়ার এইসব নকল আনন্দ
উপভোগ করে লাভ নাই। সবই মায়া-মোহ।
মনে রাখবেন আমরা শেষনবী হযরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর উম্মাহ।
জীবনযাপন করুন ঠিক যেমনভাবে মহানবী (সাঃ)
করেছিলেন। নামাজ আদায় করুন। অন্যদের পড়তে উৎসাহিত করুন। কুরআন পড়ুন, বুঝুন এবং সেই
অনুযায়ী আমল করুন। হাদিস পড়ুন, বুঝুন এবং জীবনে সেইগুলোর প্রতিফলন ঘটান।
যাকাত প্রদান করুন। শিরক, বিদআত থেকে নিজেদের
রক্ষা করুন।
দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। সবার মাঝে প্রিয় হয়ে
উঠুন। সৎপথে নিজেকে পরিচালিত করুন। অনুসরণীয় হউন।
আর সর্বদা মনে রাখুন-
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ
أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ
الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ۗ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ
الْغُرُورِ [٣:١٨٥]
“প্রত্যেক প্রাণীকে
আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে।
তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য
কোন সম্পদ নয়।” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫)
নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার, কুরআন বুঝার এবং সেই অনুযায়ী জীবনে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার, কুরআন বুঝার এবং সেই অনুযায়ী জীবনে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
(লেখায় ভাষাগত কোন ভুলত্রুটি পেলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)